দাঁতে ব্যথা দূর করার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। এই ব্যথা দূর করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু টেকনিক অবলম্বন করতে হবে। সাধারণত দাঁতের ব্যথার ঘরোয়া ভাবে দূর করা যায় ডাক্তারের সাহায্য না নিয়ে। এটি সহজে নিরাময়ের জন্য আপনাকে তৈরি করতে হবে লবণ দিয়ে একটি প্যাক। এটি ব্যবহারের ফলে আপনার দাঁতের ব্যথা খুব তাড়াতাড়ি চলে যাবে এবং রোগ থেকে সহজে মুক্তি পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে দাঁতের ব্যাথা দূর করতে হয় ঘরোয়া ভাবে। 



প্রথমে আপনাকে পরিস্কার পানি এবং সাথে লবণ মিশ্রিত করে একটি প্যাক তৈরি করতে হবে। তৈরি হওয়ার পরে এটা দিয়ে আপনাকে দাঁত পরিষ্কার করতে হবে। এই রকম ভাবে  নিয়মিত কিছুদিন করেন তাহলে আপনার দাঁতের ব্যাথা দূর হয়ে যাবে এবং দাঁতের ক্ষত থাকলেও তা দূর হয়ে যাবে। এক গ্লাস পানির মধ্যে কমপক্ষে দুই থেকে তিন  চামচ লবণ  মিশাতে হবে এবং সেটা দিয়ে কুলি করতে হবে। ব্যথা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়ার জন্য পানির সাথে মিশাতে হবে হাইড্রোজেন পারক্সাইড।  যদি আপনার ব্যথা অতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে ডাক্তার পরামর্শ নিতে পারেন।


দাঁতে ব্যথা দূর করার উপায়,  দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর উপায়,  দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়,  পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়,  দাঁত ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম,  দাঁতের মাড়ি ব্যথা করে কেন,
দাঁতে ব্যথা দূর করার উপায়


দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর উপায় হিসেবে ওষুধ এবং লবণ পানি দিয়ে কুলি করতে পারেন।  এটি করতে প্রথমে হালকা গরম পানি নিন এবং তার সাথে ১ থেকে ২ চামচ লবণ মিশিয়ে মুখের মধ্যে কিছুখন রোখে কুলি করে ফেলে দিন।  কমপক্ষে ১ থেকে ২ মিমিট মূখের মধ্যে রাখবেন। অথবা লবণ সাথে সরিষা তেল বা লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে আপনি মাড়ির মধ্যে ঘসতে পারবেন।  এই রকম করলেও আপনার মূখের ব্যথা সহজেই কমে আসবে৷ তবে সব সময় মাথায় রাখবেন যদি ব্যথা অতিরিক্ত হয়ে যায় অবশ্যই সাথে সাথে ডাক্তার পরামর্শ নিবেন।


দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়


দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায় জানার জন্য চিন্তার মধ্যে আছেন?  কোন সমস্যা নেই আমি আপনাকে এই বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে সাহায্য করব। বর্তমান সময়ে ছোট বড় সকলের দাঁতের ব্যাথা, দাঁতের গর্ত ইত্যাদি রকমের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই সকল সমস্যা সমাধান করতে কেউ কেউ ডাক্তার পরামর্শ নিয়ে থাকে আবার কেউ কেউ ঘরোয়া ভাবে নিজের চিকিৎসা নিজে করে থাকে। চলুন জানা যাক এই সমস্যা হলে কি ভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে। 


সাধারণত ডাক্তার ভাষায় ক্যাভিটি বলে থাকে দাঁতের মধ্যে হওয়া ছোট ছোট গর্ত সমূহকে। এই রোগ মানব শরীরের হয়ে থাকে ব্যাকটেরিয়ার জনিত সমস্যা কারণে। আপনি যদি এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে অবশ্যই সব সময় খাওয়ার পরে দাঁত ভাল ভাবে পরিষ্কার করতে হবে৷ অনেক সময় দেখা যায় দাঁতের মধ্যে খাবার খাওয়ার পরে খাবার জমে থাকে এবং ওখান থেকে হয়ে থাকে নানা রকমের সমস্যা।  এই খাবার গুলা অবশ্যই সুতা বা কাটি ব্যবহার করে বের করে ফেলতে হবে৷ আর সমস্যা থেকে মুক্তি জন্য লবণ পানি দিয়ে কুলি করতে হবে। 


পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় 


পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় খুবই সহজ।  এটি করতে আপনাকে তৈরি করতে হবে একটি প্যাক।  প্যাকটি তৈরি করতে লবণ এবং গোলমরিচ নিন এর সম পরিমাণের পানি মিশিয়ে পেস্ট টা তৈরি করে দাঁতের মধ্যে লাগিয়ে রাখুন।  এই ভাবে কয়েক মিমিট রাখতে হবে এবং পরে হালকা গরম পানি দিয়ে কুলি করে ফেলুন।  এই ভাবে কয়েক দিন করলে আপনার দাঁতের ব্যাথা চলে যাবে। 


দাঁত ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম হলো,ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম,ইবুপ্রোফেন, ইত্যাদি।  যখন মানুষের দাঁতের সমস্যা হয় তখন ডাক্তার কাছে গেলে এই ওষুধ গুলা দিয়ে থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন কারণে এন্টিবায়োটিক দেওয়া হয় এমোক্সিসিলিন ও অগমেনটিন এর মত। এছাড়া বিশেষ কারণে দাঁতের মধ্যে স্থাপন করা হয় জিঞ্জিভেক্টমি এবং জিঞ্জিভোপ্লাস্টি এর মত। 


দাঁতের মাড়ি ব্যথা করে কেন


দাঁতের মাড়ি ব্যথা করে কেন অনেকেই জানে না। এটি সাধারণত হয়ে থাকে নিজের অসাবধানতার কারণে।  খাবার খাওয়ার পরে দাঁত ভাল ভাবে পরিষ্কার না করলে এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। দাঁতের ফাকে খাবার খাওয়ার পর খাবারের টুকরো আটকে যায় যার কারণে দাতের মধ্যে ক্যাভেটি সৃষ্টি হয়।  তাছাড়া ব্যাথা হয়ে থাকে মাড়িতে সংক্রমণ বা দাঁতের মূল, খুব শক্ত দাঁত ব্রাশ,দাঁতে ফলক,দুর্বল স্বাস্থ্য ইত্যাদি কারণে।


এই সকল সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাকে নিয়তি দাঁত ব্রাস করতে হবে এবং দাতের মধ্যে জমে থাকা খাবার পরিষ্কার রাখতে হবে।  যদি দাঁতের সমস্যা বেশি বৃদ্ধি হয়ে যায় তাহলে সাথে সাথে ডাক্তার পরামর্শ নিয়ে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।  তাছাড়া আপনি ঘরোয়া ভাবে এই সমস্যা মুক্তির জন্য চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন।  আপনার কোন টাকা খরচ হবে না এবং সময় নষ্ট হবে না অতিরিক্ত।। 


আপানর কাছে যদি আমার লেখা আর্টিকেল টা ভাল লাগে আপনার উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে সিয়ার করবেন এবং কমেন্ট করে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য প্রকাশ করবেন। পরবর্তী সময়ে কি রকম আর্টিকেল প্রয়োজন হবে সেই বিষয়ে জানাবেন।  ধন্যবাদ 

Post a Comment

Previous Post Next Post